পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসী বিদেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ ও প্রবাসে অবস্থানরত সকলের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন ।ইউ রোপের ইতালি থেকে আব্দুর রহিম। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৭ নং লক্ষণবন্দ ইউপি নিজ ফুলসাইন গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন আব্দুর রহিম। এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন।
“ঈদুল আজহার আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি মানুষের মাঝে। এই ঈদ হোক ত্যাগ, ভালোবাসা ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতীক। ঈদ শুধু আনন্দের উৎসব নয়, এটি সাম্য, সহানুভূতি ও আত্মত্যাগের এক মহান মিলনমেলা। তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যই হতে পারে ভবিষ্যতের শক্তি। আসুন, ঈদের পবিত্রতা ধারণ করে মানবিক, উন্নত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পথে সবাই একসঙ্গে এগিয়ে যাই।”
তিনি বলেন, লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষসহ মনের পশুকে পরাজিত করার বাণী নিয়ে আসে ঈদুল আযহা। কুরবানী আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতায় আমাদের হৃদয়কে প্রসারিত করে। চার হাজার বছর আগে আল্লাহর হুকুমে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) তাঁর সবচেয়ে প্রিয় একমাত্র ছেলে হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কুরবানি করার উদ্দ্যোগ নেন। তবে আল্লাহর কুদরতে হযরত ইসমাইল (আঃ) এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর এই ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্মরণ করে বিশ্ব মুসলমানরা প্রতিবছর কুরবানি করে থাকে। তবে আল্লাহর পথে ত্যাগই ঈদুল আজহার প্রধান শিক্ষা। পশু জবেহ করে তা বিলিয়ে দেওয়া দান নয়, এইটা আমাদের ধর্মীয় কর্তব্য। তাঁরই নিদর্শন স্বরূপ আমরা প্রতি বছর আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করি। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সামর্থ্যবান মুসলমানগণ কুরবানিকৃত পশুর মাংস আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দেন এবং সমাজে সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠিত করেন। পবিত্র ঈদুল আযহার প্রকৃত শিক্ষা ও ত্যাগের আদর্শ ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হোক-এই কামনা করছি।
‘পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মার উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন।’