এই হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির পারমাণবিক ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রক কমিশন (নিউক্লিয়ার অ্যান্ড রেডিওলজিক্যাল রেগুলেটরি কমিশন) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নাগরিক পরমাণু স্থাপনায় সামরিক হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও নিরাপত্তা চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। খবর আল জাজিরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইসরায়েল ইরানের যে কয়েকটি স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, তার মধ্যে রয়েছে খোন্দাব হেভি ওয়াটার রিসার্চ রিঅ্যাক্টর, নাতানজ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র এবং ভূগর্ভস্থ ফরদো পারমাণবিক স্থাপনা।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) জানিয়েছে, খোন্দাব স্থাপনায় হামলার ফলে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সাইটটি এখনো নির্মাণাধীন এবং সেখানে পারমাণবিক পদার্থ না থাকায় তেজস্ক্রিয় ঝুঁকি নেই বলে আশ্বস্ত করেছে সংস্থাটি।
সৌদি পরমাণু নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের বিবৃতিতে আরও বলেছে, বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আন্তর্জাতিক সুরক্ষা চুক্তির আওতায় পড়ে। এসব স্থানে হামলা চালানো কেবল বিপজ্জনকই নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও শান্তি বিধান নীতিমালার সরাসরি লঙ্ঘন।
বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরবের এই বিবৃতি মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ঘিরে বাড়তে থাকা নিরাপত্তা উদ্বেগ ও কূটনৈতিক টানাপড়েনকে স্পষ্টভাবে সামনে নিয়ে এসেছে। ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ নতুন মাত্রায় পৌঁছালে গোটা অঞ্চলে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক।