
বুলবুল আহমদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:-
ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের আউশকান্দি সিএনজি গ্যাস ফিলিং ষ্টেশনে গতকাল (২১ আগস্ট) বৃহস্পতিবার ভোর আনুমানিক ৬টার দিকে বিস্ফোরনের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১০টি সিএনজি, ১টি বাস, ২টি মোটরসাইকেল সহ পাম্প পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় গ্যাস নিতে আসা সিএনজি চালক ও স্থানীয় আরো ২০/২২জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানাযায়, ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি শহীদ কিবরিয়া চত্ত্বরের অদূরে সিএনজি ফিলিং স্টেশন পাম্প অবস্থিত। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে একটি লোকাল বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় বিস্ফোরন ঘটলে এতে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়। বাসের মধ্যে গ্যাস দিচ্ছিলেন পাম্পের কর্মচারী রাসেল মিয়া, তার পাশে ছিল জয়নাল মিয়া। গ্যাস ভরাকালিন সময়ে ৩৭ পয়েন্ট গ্যাস দেওয়ার পরে গ্যাসের নলেজ (গ্যাসের পাইপ) ছিড়ে যায়! এতেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ভয়াবহ বিস্ফোরন। মুহুর্তের মধ্যেই অগ্নিকান্ড সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পাম্পে গ্যাস নিতে আসা ১০টি সিএনজি ও ঐ বাসটি অগ্নিকান্ডে ভসিম্ভূত হয়েছে।
এসময় গ্যাস পাম্পে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্যাস নিতে আসা কয়েক শতাধিক ছোট বড় গাড়ি ও নানান পেশার লোকজন আতংকিত ভাবে সু-চিৎকার দিয়ে দিক বেদিক দৌড়ে প্রাণ রক্ষা পান। এসময় বিভিন্ন গাড়ির চালকরা দৌড়ে তাদের প্রাণ রক্ষা পান। কিন্তু গ্যাস পাম্পের কর্মী রাসেল মিয়া (২৫) সহ অজ্ঞাত আরো দুইজন গুরুতর আহত হন। এতে, সিএনজি চালক সহ আরো ১৮/২০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানাযায়। তবে, এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত তাদের নাম জানাযায় নি।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ দমকল বাহিনীর ইনচার্জ হাবিবুর রহমান এর সাথে কথা হলে বলেন তিনি জানান, আমরা অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে হবিগঞ্জ, নবীগঞ্জ ও ওসমানী নগরের তিনটি দমকল বাহিনী উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুনে পুড়ে যায় ১০ সিএনজি অটোরিক্সা, ১টি বাস ও ২টি মোটরসাইকেল। এবং গুরুতর আহত দুইজনকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি। তবে, মুর্মুষ অবস্থায় একজনকে ঢাকা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা ভাল নয়।
এ ব্যাপারে পাম্পের ৩য় তলায় ঘুমিয়ে থাকা কয়েকজন কর্মীর মানুষের সু-চিৎকারে ঘুম থেকে ওঠে চতুরদিকে আগুন দেখে প্রাণ বাঁচাতে তিন তলা থেকে পাশের ধান ক্ষেত্রে লাপ দিলে পড়ে তাদের জীবন রক্ষা পায়। এতে গুরুত্বর আরো ৫/৬জন আহত হয়েছে।
পুড়িয়ে যাওয়া হত দরিদ্র সিএনজি চালকদের গাড়ি পুড়ে যাওয়ায় তারা পাগল প্রায় হয়ে পড়েছেন। তাদের পরিবার- পরিজন নিয়ে এই গাড়ির মাধ্যমেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। এবং অনেক সিএনজি
গাড়ি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কিস্তির মাধ্যমে ক্রয় করে এই গাড়ি চালিয়ে তাদের সংসার চালিয়ে আসছিলেন। এসব সিএনজি চালকরা তাদের ক্ষতি পূরণের জন্য পাম্পে মালিকের নিকট জোর দাবী জানান।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ কলকল বাহিনীর ইনচার্জ হাবিবুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,
আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থলে চলে এসে আগুণ নিয়ন্ত্রন করি। আগুনে ১০টি সিএনজি ১টি বাসসহ পুরো পাম্প পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আহত ৪জনকে উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক ভাবে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর শুনে জামায়াতে ইসলামি সিলেট মহা নগরের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সহ আরো অনেকেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতি প্রস্তদের শান্তনা দেন।