
(সুবেল তালুকদার)
সিলেট নগরে ব্যাটারি চোরদের হামলায় সিএনজি চালক মৃত্যুপথযাত্রী নগদ টাকা লুট, মামলা দায়ের সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর টুলটিকর এলাকায় এক সিএনজি চালককে হত্যার চেষ্টা করেছে নাহিদ, শিমুল, তার স্ত্রী নাঈমা বেগম, বিউটি বেগম ও তাদের সহযোগীরা। এঘটনায় ওই সিএনজি চালক গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
গত ২৪ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে টুলটিকর ২৪ নং ওয়ার্ডে শাহ পরান থানাধীন কসবা কুইটুক পানি ট্যাংকি সংলগ্ন পাকা রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
এমনকি ঘটনার পর অভিযুক্তরা ওই চালকের নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনও লুট করেছে নাহিদ বাহিনী। এ ঘটনায় টুলটিকর এলাকায় বিস্তর আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
আহত সিএনজি চালকের নাম শওকত আহমদ। তিনি টুলটিকর এলাকার ফুলবাগ-৪৭ নম্বর বাসার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় আহতের মেয়ে নাবিবা জান্নাত নিহা বাদী হয়ে শাহপরান (রহ.) থানায় (১৭/১৮৭) নং মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় একই এলাকার মৃত নাসির আহমদের ছেলে নাহিদুল ইসলাম(২৯), মৃত দুদু মিয়ার ছেলে শিমুল আহমদ(২৮), নাহিদের স্ত্রী নাইমা বেগম(২২), মৃত নাসির আহমদের মেয়ে বিউটি বেগম(৩১)সহ আরও অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার আগে সিএনজি চালক শওকত আহমদের গাড়ির ব্যাটারি চুরি করে অভিযুক্ত নাহিদ। সিসি টিভি ফুটেজেও তার চুরির দৃশ্য রয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বিচার পঞ্চায়েতে সে তার দোষও স্বীকার করেছে। কিন্তু বিচার প্রার্থী হওয়ার ক্ষোভে সে ঘটনার দিন শওকতের উপর হামলা করে তাকে হত্যার চেষ্টা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের স্ত্রীকে কালো বোরকা পড়িয়ে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখে। শওকত সিএনজি যাওয়ার পথে প্যাসেঞ্জার সেজে তাড়ি সিগন্যাল দিয়ে আটকিয়ে তাতে উঠে পড়ে। এরপর পানির ট্যাংকির ওখানে নামার কথা বলে গাড়ি থামিয়ে অভিযুক্তরা শওকতের উপর হামলে পড়ে। এসময় তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শুওকতকে গুরুতর আহত করে ফেলে যায়।
সিএনজি চালক শওকতের পরিবার জানায়, আহত শওকত আহমদ এখনো ওসমানীতে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। কন্যা দায়গ্রস্ত মানুষটি পরিবারের একমাত্র উপর্জক্ষম ব্যক্তি। সে আজ মৃত্যু পথযাত্রী হলেও চিকিৎসার ব্যয় বহনে হিমশিম খাচ্ছেন পরিবার। অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে চার মেয়ের।
চিকিৎসকরা জানান, শওকতের শরীরের বিভিন্ন স্ট্যাপিং করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর ১১টি। প্রচুর রক্তকরণ হয়েছে। ফলে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিয়েছে। তার অবস্থায় প্রায় আশঙ্কাজনক। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শাহপরান (রহ.) থানার এসআই পিন্টু। তিনি ওই মামলার তদন্ত অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। আসামিদের গ্রেফতারে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।