নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:- জেনারেল আতাউল গনী ওসমানী স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে নবীগঞ্জ উপজেলার ব্যস্ততম জনবহুল ঢাকা- সিলেট মহা সড়েকে আউশকান্দিতে ওসমানী স্মৃতি পরিষদের নামাজ, আলোচনা সভা ও মরহুমের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়েছে।
ওসমানী স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বদরুজ্জামান চানু’র সভাপতিত্ব ও নবীগঞ্জ উপজেলা তালামীযের সহ- সভাপতি মোঃ আব্দুল বাছিত এর পরিচালনায় উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ জেলা সমবায় দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ এম মোজাহিদ আহমেদ, নবীগঞ্জ পৌর তালামীযের সভাপতি জহুরুল ইসলাম রাহুল, নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচীব মঞ্জুর রহমান সুহেল প্রমূখ।
এতে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ অনলাই প্রেসক্লাবের অন্তভূক্ত নবীগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বুলবুল আহমদ, আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফরহাদুল ইসলাম নানু, ডাক্তার নাজমুল হক চৌধুরী পলাশ, হাফিজ আলফু মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা জাসাস দলের সহ সভাপতি রাসেল মিয়া, সদস্য সচীব জিয়াউর রহমান, সাগর আহমদ, কৃষক নেতা আবদিন সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে মরহুমে রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন, মশাহিদ আহমদ কামালী সুনামগঞ্জী।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ওসমানী সাহেবের অবদান কোন দিন বা জীবনেও মুছে ফেলা যাবেনা। তিনি ছিলেন, দেশ প্রেমিক। জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী সাহেব ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের ওসমানী নগর থানার দয়ামীর জালালপাড়া গ্রামে দেশের বাড়ি। তিনি ১৯৪১ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে সসতার মাধ্যম পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসাবে নেতৃত্ব পালন করেন। রোববার দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবীর ওসমানী সাহেবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদ দেশ- বিদেশ ও
সিলেটের পক্ষ থেকে বাদ জোহর হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার সংলগ্ন মসজিদে খতমে কোরআন, বাদ আসর মিলাদ মাহফিল শেষে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের লোকজন এ উদযাপন পালন করেন।
জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামে”বঙ্গবীর” উপাধি পান। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ১৬ তারিখ অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে সবাইকে কাদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।