1. protidinerawaz@gmail.com : প্রতিদিনের আওয়াজ : প্রতিদিনের আওয়াজ
  2. info@www.protidinerawaj.com : প্রতিদিনের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
এবার গোলাপগঞ্জের ঘটনায় সিলেটের ডিসিসহ ৫ কর্মকর্তাকে শোকজ সিলেটের তানিম অকালেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন। সরকারি বেতন-রেশন খাস না, গুলি করবি না কেন?’ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়া ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল’ শুরু বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ কাছাকাছি: প্রধান উপদেষ্টা দূর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বেবিচকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা উপেক্ষা আ.লীগের নিয়োগ করা পরামর্শকদের প্রভাব প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দূতাবাসে বদলি, তালিকা প্রকাশ সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ বাল্যবিয়ের অপরাধে বরকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড

বঙ্গবীর ওসমানীর জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রীয় অবহেলা, নিজ উপজেলাতেও নিস্তব্ধতা।

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে
 ওসমানীনগর (সিলেট)

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির গর্ব বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী সোমবার ১ সেপ্টেম্বর। কিন্তু বিস্ময়করভাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নেই কোনো কর্মসূচি, নেই কোনো শ্রদ্ধানুষ্ঠান। প্রশ্ন উঠছে -এ কি কেবল অবহেলা, নাকি ইতিহাস মুছে ফেলার একটি নীরব ষড়যন্ত্র?

১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরে জন্মেছিলেন ওসমানী। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে উচ্চপদে দায়িত্ব পালনের পর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিনায়ক হিসেবে তিনি পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তার নেতৃত্ব ছাড়া বিজয়ের ইতিহাস কল্পনাই করা যেত না। অথচ আজ স্বাধীন বাংলাদেশেই তার জন্মদিন উপেক্ষিত।

সবচেয়ে লজ্জার বিষয়, ওসমানীর নামানুসারে গঠিত ওসমানীনগর উপজেলাতেও নেই কোনো আয়োজন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সচেতন মহল ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘যে উপজেলার নামই রাখা হয়েছে বঙ্গবীর ওসমানীর নামে, সেখানে জন্মবার্ষিকীতে মাইকে এক মিনিটের ঘোষণাও শোনা যায় না। আলোচনা সভা নেই, শ্রদ্ধা নেই, নিস্তব্ধতার মধ্যেই হারিয়ে যাচ্ছে ইতিহাস।’

তাদের অভিযোগ—বিভিন্ন খাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয় শোভাযাত্রা, সম্মেলন বা উৎসবে; অথচ মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কের জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রের সামান্যতম আগ্রহও নেই। বরং রাজনৈতিক সুবিধাবাদ আর প্রাতিষ্ঠানিক উদাসীনতার কারণে বারবার উপেক্ষিত হচ্ছেন জাতির এই মহানায়ক।

আরো হতাশার বিষয় ওসমানীর জন্মদিনে পরিবার থেকেও কোনো উদ্যোগ নেয়ার খবর পাওয়া যায়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠন কিংবা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ—কেউই তার স্মরণে কোনো আয়োজন করেননি। ফলে পুরো ওসমানীনগরই থেকেছে নিশ্চুপ।

বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক আব্দুল হাই মোশাহিদ জানান, রাষ্ট্র কি ইচ্ছাকৃতভাবে ওসমানীকে বিস্মৃতির অন্ধকারে ঠেলে দিতে চাইছে? পরিকল্পিত অবহেলায় ইতিহাসকে আড়াল করা হচ্ছে, যা জাতীয় পরিচয় ও মূল্যবোধের জন্য সরাসরি হুমকি।

বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছুরাব আলী জানান, রাষ্ট্রীয়ভাবে ওসমানীর জন্মবার্ষিকী পালন ও

ওসমানীনগরে স্থায়ী কর্মসূচি চালু করতে হবে। নচেৎ ইতিহাস অবহেলার দায় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রাষ্ট্র ও শাসকদের কোনোদিন ক্ষমা করবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের সরকারি মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট