
গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা
গোলাপগঞ্জে ব্র্যাক সীড জৈব বালাইনাশক ব্যবহার ও পণ্য পরিচিতি নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাশরেফুল আলম।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বালাইনাশক ও সার পোর্টফোলিও), ব্র্যাক সীড হেড ডিপুটি প্রোডাক্ট ম্যানেজার (জৈব) কৃষিবিদ মোঃ আরাফাত সাদাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাকের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মোঃ আনিছুর রহমান, মোঃ শাওন হাওলাদার, টেরিটোরি সেলস অফিসার, সিলেট এবং কৃষিবিদ আবুল কাশেম শাহরিয়ার টিএসও শ্রীমঙ্গল, ব্রাক সীড।
অনুষ্ঠানে ৩৫ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা, সার ও বীজ ব্যবসায়ী এবং প্রগতিশীল কৃষক অংশ নেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার তার বক্তব্যে বলেন—“আধুনিক ও নিরাপদ সবজি উৎপাদনে ভালো বীজ ও জৈব বালাইনাশক অপরিহার্য। ব্র্যাক সীড এ ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।” তিনি জানান, প্রতিটি সার- বীজ- কীটনাশক দোকানে ‘জৈব বালাইনাশক কর্নার’ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কৃষিবিদ মোঃ আরাফাত সাদাত জৈব বালাইনাশকের ব্যবহারবিধি, উপকারিতা ও ব্র্যাক সীড এর বাজারজাতকৃত পণ্যের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন। তিনি অংশগ্রহণকারীদের নানা প্রশ্নেরও উত্তর দেন।
রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মোঃ আনিছুর রহমান বলেন—“ব্র্যাক সীড কৃষকদের আস্থার প্রতিষ্ঠান। আমরা নিয়মিত মানসম্মত সবজি, ধান, ভুট্টা, বীজ আলু ও জৈব বালাইনাশক সরবরাহ করে যাচ্ছি এবং মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পাশে রয়েছি।তিনি আরো বলেন ব্র্যাক সীড এর পক্ষ এমন সেমিনার ভবিষ্যতে বিক্রয় বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সামনে আরও বেশি এমন সেমিনার আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় কৃষক মোঃ কামরুল ইসলাম নিজের সফলতার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ব্র্যাক সীড এর জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে তিনি স্বল্প খরচে ভালো ফলন পেয়েছেন।
সবশেষে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সেমিনারটি শেষ হয়। বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, অতিরিক্ত রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার কৃষকদের জন্য নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই সমাধান হয়ে উঠবে, যা দেশের কৃষি উৎপাদনে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।