নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটে এয়ার টিকিট বিক্রিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জেলা প্রশাসন। অভিযোগ উঠেছে, একই দিনে সকাল-বিকেলের ব্যবধানে সিলেট-ঢাকা রুটের টিকিটের দাম তিন হাজার টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াচ্ছে দশ হাজার টাকায়। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের নজরে আসার পর তিনি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে জারি করা এক পরিপত্রে আকাশপথে যাত্রীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়। এর মধ্যে টিকিটের গায়ে বিক্রয়মূল্য, ট্রাভেল এজেন্সির নাম ও লাইসেন্স নম্বর স্পষ্টভাবে উল্লেখ করার নির্দেশনা ছিল। তবে সিলেটের অনেক ট্রাভেল এজেন্সি এসব নির্দেশনা মানছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ অবস্থায় জেলা প্রশাসন স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছে—পূর্বে জারিকৃত নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী, সিলেটের সব ট্রাভেল এজেন্সিকে এখন থেকে বিক্রিত প্রতিটি এয়ার টিকিটের গায়ে এজেন্সির নাম, লাইসেন্স নম্বর ও নির্ধারিত বিক্রয়মূল্য উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া যাত্রীদেরও টিকিট ক্রয়ের সময় এই তথ্যগুলো যাচাই করে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে টিকিট না কেনার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি বা কোনো সিন্ডিকেটের সঙ্গে কোনো ট্রাভেল এজেন্সির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের নিবন্ধন বাতিল ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন,
“যাত্রীসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতা ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে নিয়ম না মানলে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সিলেটবাসী আশা করছে, প্রশাসনের এই উদ্যোগে এয়ার টিকিটের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও বন্ধ হবে।