গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে জনমত গঠন লক্ষ্যে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন সিলেট জেলা বিএনপির সহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তামিম ইয়াহয়া আহমাদ। গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় গ্রামে গ্রামে এলাকাবাসীর সাথে উঠোন বৈঠক ও মতবিনিময় সভা করছেন তিনি। লোকজনদের মধ্যে বিতরণ করছেন তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট। নির্বাচনকে সামনে রেখে তার এমন কর্মকান্ড নিয়ে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠন ছাড়াও দলের কর্মী-সমর্থকরা উদ্বেলিত।
জানা যায়, ক্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির মনেনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির সহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক তামিম ইয়াহয়া আহমদ মাঠের কাজ আরও বেগবান করেছেন। তিনি প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় গ্রামবাসীর সাথে মতবিনিময় সভা ও উঠোন বৈঠকে ব্যস্ত যার সাথে ৩১ দফা সংবলিত লিফলেট ও বিতরণ করছেন লোকজনের মধ্যে। তামিম ইয়াহয়া বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার তথা, ভোটের অধিকার, শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য এবং জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়লাভ করার আহবান জানান তিনি।
২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর দলীয় হরতাল পালন করতে গিয়ে গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জ বাজারে, পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সাথে সংঘর্ষ হয়। এসময় শরীরে রামদার কুপে ৪০ টার উপরে সেলাই লাগে উনার, যার কয়েক দিন পরে জেল ও খাটতে হয়। একটি সম্ভ্রান্ত এবং ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান তামিম ইয়াহয়ার প্রয়াত বাবা মাওলানা রশীদ আহমদ ছিলেন জেলা বিএনপির নেতা। তিনি দীর্ঘদিন থেকে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারবাসীর কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তার প্রয়াত দাদা মাহমুদ হুসাইন উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের টানা কয়েকবারের চেয়ারম্যান ছিলেন। নানা ছিলেন প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম ফজলুল হক তানু মিয়া৷ তামিম ইয়াহয়া একজন সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার। তিনি পেশায় একজন আন্তর্জাতিকভাবে সফল ব্যবসায়ী। এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ মারা যাওয়ার পরে তার শূন্যস্থান অতি সহজে ছেলে তামিম ইয়াহয়া পূরণ করছেন কারন বাবার সাথে বাবার আমল থেকেই তিনি এলাকায় কাজে নিয়োজিত।